বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর কথিত
বিশ্বমুক্তির বিশ্ব অভিযান
ভারতীয় অভিযান
“গাযওয়াতুল হিন্দ ”
কী ও কেনো??
তা’ কি আসন্ন?
তা’ কি বাংলার মাটি থেকে
শুরু হবে???
বাংলাদেশ পুনঃ পাকিস্তান হবে?
না তালেবানদের আফগানিস্তান?
না যায়দ, বিলাল ও উসামাদের মাদীনা?
বিশ্বনবীর বলা “ভারতীয় অভিযান” বা
“গাযওয়াতুল হিন্দ” বলতে কী বুঝায়?
বাংলাদেশ
কোথায়
দাঁড়িয়ে??
আমরা হব উসামা
বাংলা হবে মাদীনা?
~ ইমামুদ্দীন মুহাম্মদ তোয়াহা বিন হাবীব
বাংলাদেশ কী আগ্নেয়গিরীর অগ্নুৎপাতের মুখে?
সন্দেহাতীতভাবে ভারতবর্ষ ধরায় মানবজাতির প্রথম নিবাস । বাবা আদম ও মা হাওয়ার প্রথম সংসার ভারত ভুমে ছিলো ।
বাংলাদেশ ভারতের জীবন প্রণালীতে হিমালয়ের পাদদেশে প্রসবিনী মায়ের জঠর জরায়ুর মতো। হিমালয় পর্বত মালার গা ধোয়া পলিতে সাগর তীরে ভরাট হওয়া বাংলাদেশের বেলাভূমি বিশ্ব বিপ্লবের সূতিকাঘর হতে যাচ্ছে? বাংলা বলতে গোটা পূর্ব ও পশ্চিম বাংলা এবং আসাম বুঝালেও বর্তমান বাংলাদেশ বিপ্লবী পরিবর্তনের প্রসবদ্বার হবার ইংগীত দিচ্ছে। সদ্য প্রসূত শিশু জন্ম লগ্নে বিশ্বজনীন থাকে। জন্মের পর ক্রমে পিতামাতা, শিশুকে জাতি ভেদে বিভক্ত করে। পূর্ববাংলা, বর্তমান বাংলাদেশের জাতিভেদহীন মানবঐক্য বিশ্বজনীন মানব বিপ্লবের জন্ম ও লালনের উত্তম ক্ষেত্র ।
তার সম্পূর্ণ উল্টা আরব মরু। মরুবাসীর ধূলিকণায় যেমন ঐক্যের বাধন হয় না, আরব দেশের জনগণের মেরুমজ্জায়ও তেমন ঐক্য অকল্পনীয়। বর্তমান আরবরা তার দৃষ্টান্ত।
বালুতে সিমেন্ট দিয়ে পানি দিলে যেমন জমাট বাধে, তদ্রূপ কোনো শক্তি যখন আরবদের পরাভূত করে, রূঢ় ভাবে অষ্টেপিষ্টে বাঁধে, তখনই তারা একত্র হয়। তবে তাদের ঐক্য অনুর্বর ও অজন্মাই রয়ে যায়। এটাকেই হযরত ইব্রাহীম “গায়রা যী যারআ” বলে উল্লেখ করেছেন । যার সরল অর্থ অনুর্বর ও অজন্মা বুঝায়। মানব জাতির শিক্ষার জন্য প্রেরীত নবীদের শেষ নবী মুহাম্মদ সঃ বলেছেন যে তাঁর সংস্কারকে তাঁর মৃত্যুর পর আরবরা দেশান্তরীত করবে। তবে সাপ যেমন তার গর্ত থেকে সন্ধা নামতেই বের হয়ে পুনঃ ভোর হওয়ার পূর্বেই গর্তে ফেরত আসে, সেরূপ আখেরী নবী (সঃ) এর শিক্ষার ইসলাম পুনঃ মাদীনায় ফেরত আসবে। (সিহাহ সিত্তাহ)
হাদীস গ্রন্থ নাসাঈতে বর্ণিত “গাযওয়াতুল হিন্দ” বা ভারতীয় অভিযান তারই নির্দেশক। আরবদের আল্লাহ তাদের অমার্জনীয় পাপ ও অকৃতজ্ঞতার ফলে ইস্রাঈলী রাষ্ট্র তৈরি করে খাঁচাবন্দী করেছেন। ওদের দ্বারা মুসলিম উম্মার কোনো কাজ আল্লাহ আর নেবেন না। (এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমরা ইরানী নেতৃবৃন্দকে লেখা পত্রের বঙ্গানুবাদ পড়া যেতে পারে । )
ইরানীরা বিশ্বের ইসলামী বিপ্লবের প্রত্যাশীদের নিরাশ করলে পর তারা আফগান তালেবানদের মুখ ফিরায়। কিন্তু শিয়া ইরানীদের ডিগবাজীর ন্যায় তালেবানদের সুন্নী ডিগবাজীর ফলে বিশ্বের একশ কোটি নামকা ওয়াস্তের মুসলমানদের মধ্যে লুকানো অন্ততঃ এক কোটি ইসলামী পুনরুত্থানবাদী যুবকসেনাদের মাঝে এক চরম উত্তেজনাকর অস্থিরতা বিরাজ করছে। এরা যে দিক সংকেত পাবে, উল্কার মতো সে দিকে ছুটবে ।
ইসলামী পুনর্জাগরণের দ্বিতীয় মাদীনার অঙ্গিকার নিয়ে সৃষ্টি হওয়া পাকিস্তান স্বীয় প্রতারণার পাপে খণ্ডিত হয়ে আজ এক বর্বর জাতিভেদে ও গোষ্ঠিগত দাঙ্গায় জর্জরীত ।
ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াও গোষ্ঠিগত ও জাতিগত দ্বন্দ্বে দিশাহারা ।
ব্রাহ্মন্যবাদের ভারতের পনের বিশ কোটি মুসলমানরা তাদের হিন্দু প্রতিবেশীদের চেয়েও বেশি গোষ্ঠিগত বিভক্তিতে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যহীন ।
উপরোল্লেখিত পরিস্থিতি বাংলাদেশকে বিশ্বে ইসলামী পুনর্জাগরণের একমাত্র উর্বর এবং উপযুক্ত ক্ষেত্ররূপে চিহ্নিত করেছে ।
তা হলে কী বাংলাদেশে ইরানী আফগানী ধাচের বিপ্লব সংঠিত হবে ?
আমার দ্ব্যর্থহীন স্পষ্ট জবাব, ‘না’।
কাশ্মীরে ভারতীয় বর্বর দখলদারী ও নির্যাতনের ফলে পাকিস্তানের সাহায্যপুষ্ট যে পৃথকতাবাদী রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে, ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রাণবন্ত যুবক মাদ্রাসা শিক্ষিতরা তাকে রাসূল সঃ এর “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর সূচনা মনে করে তার সাথে মিলে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশে যুগপৎ “জিহাদ” আরম্ভ করার কথা ভাবছে। কিন্ত তাদের নেতৃত্ব দেয়ার মতো কোনো লোক খুঁজে পাচ্ছেনা। “হারকাতুল জিহাদ” নামে তাদের পরিচিতি হলেও তাদের প্রতি মুক্তিকামী যুবক শ্রেণীর সহানুভূতি দিন দিন বাড়ছে ।
বিশেষ করে ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রতারণা ও ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে সরকার ও বিরোধী দলীয় নজীরবিহীন বর্বর লুটতরাজ ও মধ্যযুগীয় হিংস্র রাজনীতি জাতিকে অতিষ্ঠ করে ফেলেছে। যে কোনো মূল্যে জাতি চলমান বর্বর রাজনীতি থেকে মুক্তি চায়। আমি নিজে গত দু’দশক থেকে প্রত্যহ তাহাজ্জুদে আরব, পাকিস্তান ও বাংলাদেশী মুর্তাদ, মুনাফিক ও মুশরিক শাসক ও রাজনৈতিক বর্গীদের হাত থেকে নিপীড়িত মানুষের মুক্তির জন্য হযরত নূহের দোয়া পড়ে কান্নাকাটি করছি । ইদানিং আমার মনে হচ্ছে যেনো আমার দোয়া ক্ববুল হতে যাচ্ছে। গোটা বিশ্বের ন্যায় অন্যায়ের বাছনীর জন্য এক মহা প্রলয় আসন্ন, এবং আরো আশ্চর্য্যের বিষয় যে, দৃঢ় বিশ্বাসের মতো আমি যেনো অনুভব করছি যে তা তুচ্ছ ও দারিদ্র বাংলাদেশ থেকে শুরু হবে । আসলেই কি তা বাংলাদেশের ভাগ্যে হবে ? আল্লাহ তুমি বাংলাদেশের ভাগ্যাহত মুস্তাদাফদের ক্ববুল করো । আমীন ।
**** *** ***
নিছক রাজনৈতিক ফায়দা লুটায় ইসলামকে ব্যবহারকারী সন্ত্রাসী জামাতী নেতৃত্ব এবং তাদের সাথে যোগ দেয়া নবী রাসূলদের আদর্শবর্জিত মধ্যযুগীয় কুসংস্কার স্বল্পজ্ঞানী ও পরভুক তথা কথিত কিছু মোল্লা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তা’ আসল ক্বেয়ামতের পূর্বে পার্থিব ক্বেয়ামতের আলামত ।
“রাহমাতুল্লিল আলামীন” আখেরী নবী সঃ এর মৃত্যুর পর তাঁর লাশ মুবারক তিন দিন যাবত দাফনহীন রেখে ক্বোরেশী, উমাইয়া-আব্বাসী গোত্র ও গোষ্ঠিবাদী যে উপনিবেশবাদ জন্ম নেয়, বর্তমান মুসলিম বিশ্বের শাসক শ্রেণী ওদেরই প্রেতাত্মা ।
পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধীদলের শাসক-শোষকরা নির্বিশেষে সন্দেহাতীত আরব মরুর বর্বর উমাইয়া আব্বাসীদের ধ্বংসাবশেষে জন্ম নেয়া তুর্ক-তাতারী মুঘল-পাঠান লুটেরা সাম্রাজ্যবাদ ও তাদের পাপের ধ্বংসস্তুপে গজানো বৃটিশ উপনিবেশবাদের ঘোড়া-গাধা এবং কুকুর-শূকরের যথেচ্ছা মিলনে জন্মানো শংকর জাত। এদের পেডিগ্রি বা কুষ্টিনামা বের করা অসম্ভব । আল ক্বোরআনে আল্লাহ কর্তৃক বর্ণিত অর্থাৎ “হে ইবলিস, তুই ওদের সম্পদ আহরণ ও সন্তান প্রজননে অংশগ্রহন কর” এর এরা ফল ও ফসল ।
এদের নেতা-নেত্রীরা মক্কা গেলে ইহরাম ও মাথায় পট্টি বেঁধে হাজী ও হাজীয়ানী, ইউরোপ আমেরিকা গেলে সেখানকার হোটেল ও নৈশ ক্লাবের পতিত ও পতিতা এবং দেশে রাজনীতিতে ঘুষখোর, সুদখোর, ভোটচোর ও সন্ত্রাসী ।
এদের ওলামা, মাশায়েখ ও ধর্ম মন্ত্রীরা ইয়াযিদ ও মারওয়ানদের ধর্মীয় প্রতারণার ইমাম মুয়াজ্জিন।
আমি যখন চৌদ্দশ বছর পেছনে আমার রূহানী জগতে চলে যাই এবং দেখি যে মানবজাতির পূর্ণতম আদর্শ ইমাম ও আল্লাহর পূর্ণতম নবী মুহাম্মদ সঃ এর মৃত্যুর পর আরব বর্বরতার নিকৃষ্ট জীব মারওয়ান তাঁর স্থানে মসজিদে নববীতে ইমাম হয় এবং আবু হুরায়রা মারওয়ানের অধীনে মুয়াজ্জিন হয়ে আযান ও ইকামত দিচ্ছে, তখন আমার সারা অস্তিত্বে আগুন ধরে যায় । তখন ক্বোরআন খুলে আল্লাহর দ্বীন ও তাঁর রাসূলের আদর্শে প্রত্যাবর্তন করে আমি শান্ত হই ।
বাংলাদেশে হয়তো আরেকটি নির্বাচন হবে। এ নির্বাচনই হয়তোবা আল্লাহর আযাব আসার শেষ ঘণ্টাধ্বনী হবে। এ নির্বাচনে পূর্বের সকল বর্বরতার রেকর্ড ভঙ্গকারী সন্ত্রাস ও কারচুপি হবে । তাতে আওয়ামীলীগ বা বিএনপি, যারাই সরকার গঠন করুক, আগুন জ্বলবেই ।
ধর্মবেসাতী জামাত ও পরগাছা মোল্লাদের বিরূদ্ধে দেশের এনজিওরা স্বভাবতঃই আওয়ামীলীগকে সমর্থন করবে ।
ফলে মৌলবাদ ও মৌলবাদবিরোধী পক্ষ বিপক্ষ দেশের জনগনের সামনে সুস্পষ্ট হয়ে ধরা দিবে।
পরবর্তি সরকার অবশ্যই ওদের হবে, যারা গত তিরিশ বছরে এদেশের জনগণের নামে আসা একলক্ষ আশি হাজার কোটি টকার শতকরা পচাত্তর ভাগ চুরি করেছে। এরা আরো চুরি করবে, আরো লুট করবে। ধনী গরীবের পার্থক্য আরো বাড়বে ।
ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বের দুর্নীতিতম রাষ্ট্রের শীর্ষস্থান অর্জন করেছে।
দেশের লুন্ঠিত বারো কোটি মানুষ পুড়ে এমন কয়লা হবে যে তার নিচে আগ্নেয়গিরির লাভা জমবে। এ অবস্থা বাংলাদেশে, ভারত ও পাকিস্তানে প্রায় একই রূপ ধারণ করবে। কারন, এ তিনটি দেশের শোষকরা একজাত এবং শোষিতরাও একজাত। এদেশ সমূহের শোষকদের সংখ্যা শতকরা দশ ভাগ এবং শোষিতের সংখ্যা নব্বই ভাগ। ক্বোরানের পরিভাষায় শোষকরা “মুস্তাকবির” ও শোষিতরা “মুস্তাদআফ”। এখানে স্মরণ রাখতে হবে যে এ পরিভাষা আল্লাহর দেয়া । তিনি আল কুরআনে ঘোষণা দিয়েছেন যে বিশ্বময় তিনি মুস্তাদআফদের তাঁর বিশেষ সাহায্যের দ্বারা বিজয়ী করে মুস্তাকবিরদের ভূপৃষ্ট থেকে নির্মূল ও নিচিহ্ন করবেন। (ক্বাসাস-৫,৬)
বর্তমানে দেশে মৌলবাদী ও মিথ্যাবাদীদের দুষ্টচক্রের খেল চলছে। আগামী নির্বাচনের পর এদের খেলের চূড়ান্ত পর্ব শুরু হবে।
নির্যাতিত নিঃশেষিত জনগণ মৌলবাদ ও মিথ্যাবাদের মাঝে সত্যবাদের সন্ধান খুঁজবে। সে সন্ধিক্ষনে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের আফগানী ও কাশ্মীরী তালেবানরা (?) এক আত্নহুতির ন্যায় সর্বাত্নক জিহাদে ঝাঁপিয়ে পরার সমূহ সম্ভাবনা তৈরী হচ্ছে।
*** *** ***
আল্লাহর শ্রেষ্ঠসৃষ্টি মানুষের অন্তরে ধর্মের টান স্বভাবজাত । যুগে যুগে শয়তানের যৌথ খামারে জন্মানো নমরূদ, ফিরআউন ও তাদের প্রেতাত্মা ধর্মদ্রোহী ও ধর্মহীন স্বৈরশাসকরা যখন নিজেরা খোদা হয়ে মানুষের উপর শোষণ শাসন চালিয়ে মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে, তখন মানুষ মাটির মিথ্যা খোদাদের বিরূদ্ধে সাত আসমানের উপর আরশে উপবিষ্ট এক আল্লাহর নামে জিহাদে নেমে পড়ে। বর্তমানে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের নিপীড়িত একশ কোটি মুস্তাদআফদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। আল্লাহর কোনো খাটি বান্দা কিছু ঈমানদার সৈনিক নিয়ে তাওহীদের আযান দিয়ে ময়দানে নামলে এমন প্রলয় আরম্ভ হবে যে তার সামনে সকল স্বৈরশাসনের বাঁধ তৃণখণ্ডের ন্যায় ভেসে যাবে। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা মহাপ্রলয়ের পূর্বাভাস দিচ্ছে। নির্বাচন হলেও ক্বেয়ামত, না হলেও ক্বেয়ামত।
জাতির সমষ্টিগত পাপে দু’টি অভিশপ্ত ঘর ভাঙ্গা নারী ও তাদের দাইয়ূস দলীয় পান্ডারা তাদের স্বহস্তে নিজ নিজ কবর খুদে পরিণামের অপেক্ষায় দন্ডায়মান। এবার হজ্জ, হিজাব ও তসবিতে কাম হবে না। কাজী গোলাম আযম ও আজিজুল হক, ফজলুল হক মুন্সীদের নিকাহনামা ও ফতোয়ায় বিরোধীদলের সংসার গড়বে না, আল্লাহর আযাব আসন্ন ।
আল্লাহ্র আখেরী নবী সঃ এর ভবিষ্যৎ বাণী “গাযওয়াতুল হিন্দ” বা ভারতবর্ষ থেকে উল্লেখিত বিশ্বমুক্তির যুদ্ধের দামামা বাজলে বলে। রাসূল সঃ বলেছেন যে কিয়ামত এতো নিকটে যে ইসরাফিল ফেরেশতা তাঁর বাঁশিতে ফু’দিতে এমনভাবে ঝুঁকে আছে যে একটি লোক খাদ্যের গ্রাস হাতে নিয়ে তা মুখে তুলতে সামনের দিকে যেমন ঝুঁকে।
বয়স্ক পরভূক মোল্লা মাশায়েখদের ক্লীবলিঙ্গতায় দ্বীনি শিক্ষিত যুবক আলেম ও মাদ্রাসার ছাত্ররা চরম হতাশায় পথের দিশা খুঁজছে। তাই তারা একবার ইরানী বিপ্লব, একবার আফগানী বিপ্লব ও একবার “হারকাতুল জিহাদের” ঘূর্ণাবর্তে পাক খাচ্ছে।
তাদের লোকেরা বিভিন্ন সূত্রে বহুবার আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি যেহেতু ধর্মান্ধতা, সন্ত্রাস ও গোপন চোরাগুপ্তা কার্যকলাপে বিশ্বাসী নই, তাই তাদের সুস্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে, “এসো, আমরা উন্নত আদর্শ, ব্যক্তি চরিত্র, জ্ঞান ও কর্মসূচি ঘোষণা করে আল্লাহ্ “রাব্বুল আলামীন” ও আখেরী নবী “রাহমাতুল্লিল আলামীন” এর বিশ্বজনীন মানব মুক্তির ডাক দিয়ে ময়দানে অবতীর্ণ হই। ইরানী শিয়া, আফগানী সুন্নী ও বিন্ লাদেনী আরবী সন্ত্রাস দিয়ে যে কর্মকাণ্ড হবে, আমি কোনো অবস্থাতেই তাতে সম্পৃক্ত হবো না।
বাংলাদেশে বিরাজমান শূণ্যতায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশত্যাগী, বরং প্রকৃতার্থে দেশ থেকে বিতাড়িত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ এক কথায় মধ্যযুগীয় হিংস্র বর্বর আরব স্বৈরাচারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদীদের দ্বারা গঠিত “হিযবুত তাহরীর” নামী আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠনের লোকেরা বাংলাদেশকে টার্গেট বানিয়েছে। তথাকথিত মানবাধিকারের আওতায় তুলনামূলক মুক্ত ইউরোপ ও আমেরিকা এদের চারণ ও লালন ভূমি।
“হিযবুত তাহরীর” সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো বিশ্বের মুসলিমদের একত্র করে একজন খলিফা বা ইমামের অধীনে একটি মাত্র মুসলিম রাষ্ট্র গঠন করে বিশ্বকে ইসলামের দিকে ডাক দেয়া, যা আল ক্বোর’আন ও আখেরী নবী সঃ এর শিক্ষা ও আদর্শ।
বাংলাদেশে জামাতে ইসলামীর ডিগবাজী, শাইখুল হাদীস ও মুফতীদের ইসলামী মূলনীতি বিরোধী অথর্ব নেতৃত্ব দেশের নির্যাতিত জনতা, বিশেষ করে মাদ্রাসা শিক্ষিত যুবক শ্রেণী ও সাধারণ শিক্ষিত ইসলামী ঈমানদ্বীপ্ত বুদ্ধিজীবী ও সচেতন নাগরিকদের চরমভাবে হতাশায় নিক্ষেপ করেছে ও করছে।
দেশের প্রধান দু’টি প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বি,এন,পি জাতির জন্য ডাঙ্গায় বাঘ এবং জলে কুমিরের ন্যায়। এ দল দুটিতে জাতির সর্বগ্রাসী দুর্বৃত্তরা পালাক্রমে জাতিকে লুটার জন্যে অস্ত্র শানাচ্ছে। নির্বাচন যতোই কাছে আসছে দল দুটির পুরাতন শোষকদের সাথে অবসর প্রাপ্ত সেনা, পুলিশ, আমলা ও সর্বভুক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ততোই তাতে যোগ দিচ্ছে। এরা গত তিরিশ বছরে দেশের বারো কোটি জনতার উন্নয়নের লক্ষ্যে আসা পৌনে দু’লক্ষ কোটি বিদেশী ঋণ ও অনুদানের শতকরা পচাত্তর ভাগ আত্মসাৎকারী চোর ডাকাত।
নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক, জাতির রক্ষা নেই। ভারত, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের জনগণ নিজ নিজ রাষ্ট্রীয় সীমানায় সাধারণ পার্থক্যে একই মহাবিপদের মুখোমুখি। এদেশ তিনটির সোয়াশ কোটি মানুষের মাঝে সংখ্যায় কোটি খানেক দুর্বৃত্তের হাতে একশ্ চব্বিশ কোটি আল্লাহর সৃষ্ট শ্রেষ্ঠ জীব “আশরাফুল মাখলুকাত” মানুষ জিম্মী।
পৃথিবীর কোথাও এক জায়গায় এতো মুস্তাদ’আফের সমাবেশ ও বাস নেই। তন্মধ্যে ভারতের নেতৃত্বে ব্রাহ্মণ্যবাদী হিন্দু হলেও ওদের গুণগতমান বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দুশ্চরিত্র কুলাঙ্গার নামসর্বস্ব মুসলমান নেতৃত্বের চেয়েও তুলনামূলক ভাবে উন্নত ও ভদ্র এবং সভ্য।
*** *** ***
এ মহা সংকটের সন্ধিক্ষণে মুক্তির পথ কী?
আমার দ্বিধা, দ্বন্দ্ব ও সংকোচহীন উত্তর হলো, তা’ বিশ্বের নির্যাতিত “মুস্তাদ’আফ” মানুষের মুক্তির সর্বশেষ ও পূর্ণ দূত মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সঃ এর আচরিত ও প্রদর্শিত পথ। তিনি আরব মরুর দস্যুবৃত্তির সরদার মক্কার ক্বোরেশী দলপতি আবু জাহল, আবু লাহাব ও আবু সুফইয়ানদের হাত থেকে যেভাবে যায়দ, বেলাল, আম্মার, সুহাইব ও খাব্বাবদের মুক্ত করে গিয়েছিলেন, সে আদর্শেই ভারতবর্ষ থেকে মানবমুক্তির বিশ্বায়নের ডাক দিতে হবে। তিনিই বেদপুরানের কল্কি অবতার। ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোচায়না, অর্থাৎ কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, কোরিয়া ও ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড সব এককালীন মহাভারতের ভারতবর্ষের অন্তর্ভুক্ত ছিলো।
*** *** ***
ভারতবর্ষ থেকে উঠিতব্য সত্যের বিশ্বায়নের আন্দোলনের ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন আল্লাহর আখেরী নবী। তাঁর মৃত্যুর পর আরব ও মুঘলদের ভারত আক্রমণ ও তাদের শাসন-শোষণ নবী সঃ এর আনা ইসলামের ভারত অভিযান ছিলোনা। সন্দেহাতীত ভাবে তা ছিলো ইসলামের নামে আরব ও তাতারদের লুটপাট ও দস্যুবৃত্তির উপনিবেশবাদ।
এখন চূড়ান্ত সময় এসেছে কল্কি অবতারের “গাযওয়াতুল হিন্দ” ভারতীয় মহা অভিযানের।
ইরান, আফগান ও পাকিস্তানের সীমান্তের ওপার থেকে যে সাম্প্রদায়িক ও সন্ত্রাসী মৌলবাদী বাক বিতন্ডা হচ্ছে, তাঁর সাথে সত্যিকারের ইসলামের কোন সম্পর্ক ও সাদৃশ্য নেই।
উপমহাদেশে ১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে যে সাম্প্রদায়িক বিভক্তি হয়েছে, তা কোনো মতেই জাতির মুক্তির “মুক্তিযুদ্ধ” হয়নি। জাতিকে বিভক্ত করে তাদের মান, ইজ্জত, ধন সম্পদ ও সামাজিক ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতি ধ্বংস করে বিদেশী, বিভাষী বর্গী হার্মাদদের তাড়িয়ে স্বদেশী ও স্বভাষী বর্গী ও হার্মাদদের লুটপাটের স্বর্গনামের নরক তৈরীর প্রতারণা ছিলো।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত করে ক্ষুদ্র “মথ ইটেন” পাকিস্তান বানানো যেমন বৃহত্তর বিশ্বমন্ডল থেকে পালিয়ে ক্ষুদ্রতর অন্ধগলিতে পলায়ন ছিলো, তেমনি ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে বর্তমান সংজ্ঞা ও সংঘাতের বাংলাদেশ সৃষ্টি, অন্ধগলি থেকে মুষিকের গর্তে আত্মগোপনের চেয়েও ট্রাজেডি।
১৯৭১ সালে রমনা মাঠে মিথ্যা মুসলিম দাবীদার চরিত্রভ্রষ্ট, পাকিস্তানীদের গ্লানিকর পরাজয় হয়েছে। পাকিস্তানীদের পরাজয় দেখার পর দীর্ঘ তিরিশ বছরে বাঙ্গালীরা ঈমান এনে মুসলিম না হয়ে পাকিস্তানীদের পরাজয়ের স্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে প্রমাণ করলো যে পাকিস্তানি শাসক শোষকেরা যেমন ঈমানহীন মিথ্যা ইসলামের দাবীদার ইতর প্রজাতি, বাঙ্গালী শোষকরা তাদেরই বাংলা সংস্করণ পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীদেরই উর্দু সংস্করণ।
তা’ না হলে কি যৌথ পরিবারে সম্পত্তির ভাগবাটোয়ারার বিবাদ বিচ্ছেদের ঘটনাকে চির স্মরণীয় করতে গরীব জনগণের রক্ত নিংড়ানো রাজস্বের কোটি টাকা ব্যয় করে পরাজিত ভাইয়ের পরাজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করে?!
এ ক্ষেত্রে ধন্য ভারতীয় হিন্দু নেতৃত্ব। তারা হাজার বছরের মুসলিম আধিপত্যবাদের প্রতিশোধ নিয়ে পাকিস্তান ভেঙ্গে দিয়েও পাকিস্তানের পরাজয়ের স্মৃতিস্তম্ভ তৈরী করেনি।
অপর দিকে বাংগালীরা যেনো ভারতীয় বালঠাকরের শিবসেনা হয়ে সে কাজটি করে দিলো! ধিক, শতধিক এ বাঙ্গালী মুসলমানিত্বের! ধিক এদের পূর্ব পুরুষের পরিচয়ের! ধিক এদের জন্ম মৃত্যুর! যে পর্যন্ত না তওবা করে খাঁটি মুসলিম হয়ে এরা এ গ্লানি মুছে ফেলবে, এদের পরবর্তী প্রজন্মের উপর বংশানুক্রমে এ অভিশাপ চলবে।
উচিৎ ছিলো পাকিস্তানের পরাজয়ের পর আল্লাহর পূর্ণ নবীর আদর্শে আমরা নির্যাতিত বাংলাদেশী মুসলিমরা বাংলাদেশকে শোষণহীন কল্যাণরাষ্ট্র করে পাকিস্তানীদের উচিৎ শিক্ষা দেয়া।
এসব দেখে আমি আমার আল্লাহ প্রদত্ত দূরদৃষ্টিতে প্রায় নিশ্চিত দেখতে পাচ্ছি যে আল্লাহর আখেরী নবীর কথিত বিশ্বায়নের ভারতীয় অভিযানের তাওহীদী ঐক্যের ডাকে ভারতের মুস্তাদআফরাই অগ্রনী হবে। তবে ডাকটি উত্থিত হবে বাংলার মাটি থেকেই, ইনশা আল্লাহ।
বাঙ্গালী শাসকশ্রেণী, পাকিস্তানী শাসকশ্রেণী ও আরব বিশ্বের শাসকশ্রেণী নির্বিশেষে এরা আল-ক্বোরআনের অভিশপ্ত “মুস্তাকবির”। পৃথিবীর বুক থেকে এদের নির্মূল কামনা করা প্রত্যেক ঈমানদার নরনারীর কর্তব্য। নিত্য কুনুতে নাযেলা পড়ে তা’ করা প্রায় ফরজের পর্যায়ে।
বিশ্বের মুস্তাদআফদের মুক্তি ও ঐক্যের পথে এ সমস্ত নামসর্বস্ব মুসলিম নামধারী নরপিশাচ মুস্তাকবিররা প্রথম অন্তরায়। আল্লাহর আসমানী সাহায্য ও বিশ্বের মুস্তাদআফদের সম্মিলিত জিহাদের প্রতিই ইংগীত করেছেন রাসূল সঃ গাযওয়াতুল হিন্দ ও হযরত ঈসা আঃ এর অভিযানে। এ পুস্তিকা তারই মুখবন্ধ।
পাকিস্তান সৃষ্টির মূলে যে রাসূলের মাদীনার আদর্শের ঘোষণা ছিলো এবং যে পাকিস্তান ২৭শে রমজানে শবে কদরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো, সে আদর্শ রক্ষার্থে যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে লড়েছে, পাকিস্তানী বর্বর সেনাদের বর্বরতায় অংশ গ্রহণ করেনি, ধর্ষণ ও লুটপাট করেনি, এবং অপর পক্ষে যারা পাকিস্তানী শাসকদের শোষণ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মুক্তির যুদ্ধ লড়েছে, ধর্ষণ, লুটপাট ও নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালায়নি, এরা দু’শ্রেণী দু’পক্ষ হলেও এরা নায়ের পক্ষের সহোদর ভাই। বাংলাদেশ থেকে “গাযওয়াতুল হিন্দ” “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর পতাকা এরা এবং এদের অনুসারী প্রজন্ম উত্তোলন করবে।
এখানে পাঠক সাধারণকে মনে রাখতে ও বুঝতে হবে যে, বিশ্বে আল্লাহর প্রত্যেক নবী ও রাসূলের কাজ ছিলো মানবজাতিকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, আল্লাহ তা’আলার তাওহীদ অর্থাৎ সকল মানুষের সাম্য ও ঐক্যের একমাত্র কালেমা বা বাক্য ও মন্ত্র বলে উল্লেখ করেছেন। (আল ইমরান-৬৪) এ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”ই কালেমা, যা পৃথিবীর প্রত্যেকটি তাওহীদবাদী মানুষের প্রাণের কথা বা বাক্য। কিন্তু বিচ্ছিন্নতা ও বর্ণবাদী মুশরিকদের জন্য এ ঐক্যের কলেমা গ্রহন করা ও উচ্চারণ করা প্রাণান্তকর কঠিন কাজ।
বাবা আদম আঃ থেকে শেষ নবী মুহাম্মাদ সঃ পর্যন্ত সকল নবীদের আল্লাহ শুধু এ “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” শিক্ষা দিতে পাঠিয়েছিলেন। শেষ নবী সঃ কে দিয়ে আল্লাহ তাকে চূড়ান্ত ও সীল-মোহর মেরে দিয়েছেন। বলেছেন “মুশরিকদের জন্য তোমার এ সৃষ্টির ঐক্যের ডাক গ্রহণ করা ও মানা প্রাণান্তকর কঠিন কাজ হবে।
নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও ঈসা সবাইর এ কলেমা প্রতিষ্ঠাই—কাজ ছিলো। ইয়াহুদী ও খৃষ্টানরা আল্লাহর সাথে আল্লাহর নবী উযাইর ও ঈসা আঃ কে শরীক করে কালেমা পড়তে রাজী। তাদের দেখা-দেখি মোহামেডানরাও কলেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর সাথে কোনো পৃথককারী বাক্য ছাড়াই মুহাম্মাদ সঃ কে যোগ করে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ” পড়ে শির্ক করে অভিশপ্ত মুশরিক হয়ে গিয়েছে। মুমিনরা শুধু নবী রাসূলদের ন্যায় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর কলেমা তাওহীদ পৃথক পড়বে। রিসালাতের কলেমা সর্বাবস্থায় পৃথক ভাবে পড়বে। যা ক্বোরআন ও রাসূল সঃ এর চূড়ান্ত শিক্ষা। ঈমানদারদের প্রত্যেক আযান ও ইকামতের মাধ্যমে তা দৈনিক দশবার করে শিক্ষা দেয়া হয়।
গাযওয়াতুল হিন্দের পতাকাও হবে শুধু “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। তার সৈনিকদের ধ্বনীও হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। কুচকাওয়াজের পদক্ষেপণ ও হবে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর---
কিন্তু ইয়াহুদী রাব্বাই ও খৃষ্টান পাদ্রীদের অনুসারী বিপথগামী মোহামেডান মোল্লারা আল্লাহ, আল ক্বোরআন, সকল নবী, খাতামুন নাবিয়্যীন রাসূল সঃ ও আযান এবং ইক্বামতের শিক্ষা অমান্য ও বর্জন করে বিশ্বের সাধারণ মুসলিমদের “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলল্লাহ” একত্র পড়িয়ে মুশরিক বানিয়েছে ও বানাচ্ছে।
তারা বলে যে তাদের পূর্ববর্তী গুরুরা নাকি এ ব্যাপারে ঐক্যমত্য গঠন করেছে। তাদেরকে আল্লাহ রাসূল, ক্বোরআন ও হাদীসের বিরুদ্ধে ঐক্যমত্য গঠন করার অধিকার কে, কখন এবং কীভাবে দিলো জিজ্ঞাসা করলে তাদের বিবেকবানরা চুপ মেরে যায়, এবং মুর্খ ও নির্বোধরা তর্ক করে ক্ষিপ্ত হয়ে যায়।
কারণ, ইয়াহুদী, খৃষ্টান ও মুশরিকদের আদিগুরু ইবলিস শয়তান এদেরও গুরু সেজে সমান্তরালে মুশরিক বানিয়ে এদের দ্বারা বিশ্বের মানুষকে অভিশপ্ত করেছে ও করছে।
এখন সময় এসেছে নবী রাসূলদের ওয়ারিশদের পতাকা উত্তোলন করে “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর ডাক দেয়ার। বর্ণবাদ ও গোষ্ঠিগত বিবাদমুক্ত বাংলাদেশ থেকেই এর সূচনা হবে ও করতে হবে। ইনশা আল্লাহ।
ইবলিসের ওয়ারিশরা বলে যে ওদের শির্কি কলেমার উপর নাকি “ইজমা-ই উম্মত” বা ঐক্য হয়েছে! কে বা কারা, কখন এবং কীভাবে আল্লাহর হুকুম, ক্বোরআনের সুস্পষ্ট আয়াত ও সকল নবীদের শিক্ষার বিরুদ্ধে ইজমা বা একমত হওয়ার অধিকার দিলো? “ইসলামী উম্মাহ” বা “মুসলিম উম্মাহ” হলো নবীদের দ্বারা গঠিত উম্মাহ। আল ক্বোরআনে দু’জায়গায় আল্লাহ বিশেষভাবে নবীদের উল্লেখ করে বলেছেন, “এ হলো তোমাদের উম্মত। যার আমি হলাম রব্ব। একমাত্র আমাকে ভয় করো ও আমার দাসত্ব করো”। (আম্বিয়া, মু’মিনুন-৯২.৫২) নবীদের শিক্ষার বাইরে মানুষের “ইজমা” বা ঐক্যমত্য শয়তানের ব্যভিচার। দ্বীন ইসলামে তা অকল্পনীয়।
আরবরা রাসূল সঃ এর মৃত্যুর পর মিথ্যা কলেমা সৃষ্টি করে তার ভিত্তিতে মোহামেডান জাতি দাঁড় করে সাম্রাজ্য বিস্তার করে গিয়েছে। তার ফলে আর বিশ্বে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ইসলামের দুর্নাম হয়েছে উপনিবেশবাদী ধর্ম রূপে। ফলে ভারতবর্ষে ইসলাম আসেনি। এখন ভারতবর্ষের একশ কোটি মুস্তাদআফদের মধ্য থেকে গাযওয়াতুল হিন্দ আরম্ভ হয়ে ইসলামের বিশ্বায়ন শুরু হতে যাচ্ছে। ইনশা আল্লাহ।
উমাইয়া আব্বাসী দুঃশাসনের প্রেতাত্মা মুঘল পাঠানদের দৌরাত্ম ভারতকে হাজার বছর লুণ্ঠন করেছে। যার আযাব রূপে ভারতবর্ষে দু’শ বছর বৃটিশ উপনিবেশবাদ চলেছে। তারপর সে উনিবেশাবাদ পাকিস্তানী সেনাশাসনের রূপ ধরে তার দুঃশাসনে বাংলাদেশের জন্ম দেয়। এ আমলা ও সেনা শাসনের দুষ্টচক্র মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকেও লুটে সর্বস্বান্ত করে মুস্তাকবিরদের নরক রাজ্যে রূপান্তরিত করেছে। এ সন্ধিক্ষণেই ভারতবর্ষের মূল ভূখন্ড তথা বাংলাদেশ থেকে তাওহীদী মুস্তাদআফ বিপ্লবের ঢেউ পশ্চিমে বর্তমান ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান ও পূর্বে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় ছড়াতে হবে। পাকিস্তানে বেনজির, ভারতে সোনিয়া, বাংলাদেশে হাসিনা, খালেদা ও ইন্দোনেশিয়ায় মেঘাবতী অশনি সংকেত দিচ্ছে। নারীরূপী শয়তানী নেতৃত্ব মানব জাতিকে বেশ্যায়নের দিকে নিয়ে যায়। কারণ, নারী যখন তার গৃহ ত্যাগ করে পুরুষের বাজারে একাকার হয়ে যায়, তখন আর সমাজে পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী ও ভাই-ভগ্নীয় সংসার থাকেনা। গোটা সমাজ নারী পুরুষের বেশ্যালয় হয়ে যায়।
বেশ্যায়ন যৌন পাশবতার বিশ্বায়ন। আর পাশব যৌনতায়-নর, নারীর পেছনে ধায়। যেমন ষাঁড় গাভীর পেছনে, কুকুর কুকুরীর পেছনে ও শূকর শূকরীর পেছনে। শুধু পার্থক্য হলো যে পশু এক নির্দিষ্ট সময়ে পাশবীর পেছনে নরগুলো ধায়।
মানব পশুরা বারোমাস ধায়। তাতে সাধারণ নর ও শায়খুল হাদীস নর ও মুফতী নরের মাঝে কোনো পার্থক্য থাকেনা। বাংলাদেশ এ মহামারীতে সর্বনিকৃষ্ট আক্রান্ত।
আল ক্বোরআনে বর্ণিত সূরা মুহাম্মদ ও হুজরাতের ভিত্তিতে পুরুষদের একদল “তাওবাতুন নাসুহা” করে সূরা মুমতাহানা ও তাহরীমের শিক্ষায় তাদের মা বোন ও স্ত্রী কন্যাদের ঘরে ফেরত না আনলে, বা আনতে তড়িৎ পদক্ষেপ না নিলে, আসছে নির্বাচন থেকেই বাংলাদেশ ভূ-পৃষ্ঠে নরকের রূপ নিবার আশংকা রয়েছে।
জাতীয় পাপে হাসিনা, খালেদা, স্বজন ও স্বামীহারা হয়ে ঘর ভাঙ্গলেও তারা জন্মসূত্রে হলেও ঈমানের দাবীদার জাতির জাত-কন্যা। শত নষ্ট হলেও হজ্জ্ব ও ওমরা করে মাথায় কাপড় দেয়, গায়ে আলখেল্লা জড়ায় ও হাতে তসবিমালা নেয়। এর সবটুকুই যদি ভন্ডামী ও নষ্টামী না হয়, তা হলে আমি আল্লাহর দ্বীন ও রাসূলের দোহাই দিয়ে তাদের আহবান করছি “তোমরা দু’জন তওবা করে ঘরে ফেরো। তোমাদের মাতা পিতা ও ভাই এবং স্বামী পরপারে আল্লাহর বিচারের অপেক্ষায় হাজতবাসী। তোমরা উভয়ই বয়সের এ পর্যায়ে যে, পশু মাংসের হাটে তোমাদের দেহের মাংসের মূল্য নেই। ইসলামের দেয়া মা, দাদী ও নানীর মর্যাদায় ফেরৎ যাওয়ার শেষ সুযোগটি তোমাদের জীবনে রয়েছে মাত্র। ঈমানে ভর করে সাহস করলেই তোমরা তওবার শেষ সুযোগটি পাবে। এ সুযোগটি হারালে কিন্তু তোমাদের আর রক্ষা নেই। তোমরা জাহান্নামে যাবে এবং জাতিকেও জাহান্নামে ডুবাবে। তখন গোটা জাতির পাপ তোমাদের ঘাড়ে হবে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন। “আমরা সবাই নিশ্চিত আল্লাহর, এবং নিশ্চিতরূপে আমরা সবাই তাঁরই নিকট প্রত্যাবসিত হবো”।
শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে আমি অব্যশই তাকে গিয়ে তওবার দাওয়াত দিতাম। তার সাথে আমার যে পরিচয় ছিলো, তাতে আমি অব্যশই বলিষ্ঠ ভাবে দাওয়াত দিতে পারতাম। ইসলামী শিক্ষার গভীরতা না থাকলেও লোকটি তার সমসাময়িক রাজনীতিদের মধ্যে অত্যন্ত উদার মনের অধিকারী ছিলো। রাজনৈতিক মতপার্থক্যের শত্রুদের সাথেও সৌজন্যের প্রমাণ দিতে সে ব্যর্থ হয়নি। আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা লগ্নে তার ঘনিষ্ঠ সঙ্গি এ, কে, রফীকুল হোসেনের ধানমন্ডির বাড়িটি তার শত্রু-বন্ধুকে ফেরৎ দিতে রক্ষীবাহিনী ব্যবহার করতেও শেখ কুণ্ঠাবোধ করেনি। অধ্যাপক গোলাম আযমের চাচা এ, কিউ, এম, শফীকুল ইসলামও শেখের একই প্রকারের শত্রুবন্ধু ছিলো। তার মগবাজারের বেদখল বাড়িটিও শেখ মুজীব শক্তি প্রয়োগ করে ফেরৎ দিয়েছে।
শেখ মুজিবের জায়গায় গোলাম আযমরা হলে শেখ হাসিনারা তাদের পিতার বাড়ী ফেরৎ পেতোনা বলে আমি নিশ্চিত বলতে পারি। কিন্তু শফীকুল ইসলাম হলে তার সমান সম্ভাবনা ছিলো বলে আমি মনে করি। বাকী আল্লাহ জানেন ।
জিয়াউর রহমান বর্তমান অবস্থায় জীবিত থাকলে আমি তাকে তওবার এ দাওয়াত দিতে যেতাম কিনা সন্দেহ। কারণ আমাকে মানুষচেনার বিশেষ অন্তর চক্ষু আল্লাহ দান করেছেন। আমি সে জন্য তাঁর হুজুরে সিজদা করে শুকুর করছি।
উপনিবেশবাদের যুগ কেটে যাওয়ার পর বিশ্বে যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বশাসিত রাষ্ট্র জন্ম নিয়েছে, তা মূলতঃ বিদেশী উপনিবেশবাদীদের তাড়িয়ে দেশীয় উপনিবেশবাদীদের নিরস্ত্র, আধা স্বশস্ত্র এবং পূর্ণ স্বশস্ত্র দুর্বৃত্তদের শাসন, শোষণ ও লুণ্ঠনেরই নামান্তর।
তন্মধ্যে গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী নির্বাচনের মাধ্যমে জাতিকে শোষণকারীরাও দুর্বৃত্ত হলেও তারা জনগণের মধ্যে তাদেরই একজন সেজে তাদের প্রতারিত করে। তাই তাদের জনগণের সাথে একটি সম্পর্ক থাকে। সে জন্য তারা জনগণের কাছাকাছি বাস করে। এরা ভোট ভিক্ষার জন্য হলেও জনগণের দুয়ারের ভিক্ষুক।
আধা স্বশস্ত্র দুর্বৃত্ত পুলিশ বাহিনী জনগণের সন্তান হলেও তারা বেতনভুক্ত হওয়ার ফলে বেতন-ভাতাই এদের মা, বাপ। ঘুষ এদের শ্বশুর বাড়ী। জাতির দেহে এরা পচনশীল একটি দুষ্টক্ষত।
পূর্ন অস্ত্রধারী বেতন ভুক্ত সেনাবাহিনী জাতি সমূহের উপর পূর্বতন বিদেশী বর্গী উপনিবেশবাদের বিদায় কালে পরিত্যক্ত ঘাতক অপশক্তি।
জাতির দেহের এ তিনটি মহামারী ব্যাধির জীবাণুর সর্বকালীন বাহন হলো সর্বভুক আমলা শ্রেণী। এরা রাজনৈতিক বাটপার, দুর্নীতিবাজ পুলিশ বাহিনী এবং মার্শাল ডাকাত সেনাবাহিনী, সকলের শাসনের ফাঁকেই সর্বভুক তেলাপোকার ন্যায় জাতিকে খায়।
দুর্নীতি পরায়ন হওয়া সত্ত্বেও রাজনীতিকরা জনগণের মধ্য থেকে জন্মানো, জনগণের মধ্যেই বিচরণকারী এবং জনগণকে নিয়েই তাদের বাঁচন মরণ বিধায়, আমরা বিচারে তাওবা ও সংশোধনের আহ্ববানের যোগ্য রাজনীতিকরাও। জনগণকে আল-ক্বোরআনের মুস্তাকবির ও মুস্তাদআফের সংজ্ঞা বুঝিয়ে সচেতন করলে রাজনৈতিক স্বার্থেই অপেক্ষাকৃত ন্যায় পরায়ন রাজনীতিকরা জনগণের কাতারে শামিল হতে বাধ্য হবে।
তাই আমি সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী, পুলিশ বাহিনী ও আমলা শ্রেণীকে শ্রেণীগত ভাবে সংশোধনের অযোগ্য, জাতির বিপক্ষ শক্তি মনে করি। ব্যক্তিগত বৈপরিত্য ও অসাধারণ স্বাত্ত্বিকতার অধিকারী দু’চারজন আল্লাহর বান্দা এদের মধ্য থেকে বের হয়ে জাতির মূল স্রোতে যোগ দিলে তা ব্যতিক্রম ঘটনা বলেই বিবেচিত হবে।
আফগান সীমান্ত থেকে পূর্বে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত আদি ভারতবর্ষে “গাযওয়াতুল হিন্দ” অভিযানে প্রধান অন্তরায় হবে পাকিস্তানের সেনাস্বার্থ, বাংলাদেশী সেনাস্বার্থ, ইন্দোনেশীয়ান সেনাস্বার্থ ও তাদের সম্পূরক আধা সামরিক গোষ্ঠি ও আমলাতন্ত্র।
অপর দিকে ভারতীয় গণতন্ত্রী ও মালেশিয়ান রাজনীতিকরা তাদের ও সাধারণ জনগণের স্বার্থে কোনো আমূল বিপ্লবে সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ বললেও সম্পূর্ণ অস্বীকার করা যায় না। বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তর গণতন্ত্রী রাষ্ট্র ভারতের কোলে পোষ্য বিধায় কোনো গণবিপ্লবে জনস্বার্থের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী তাদের পূর্বপুরুষ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর গণবিরোধী ভূমিকায় নামতে দশবার ভাববে। পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার উর্দী ওয়ালারা বরাবরই হিংস্র হলেও দেশ দুটির সাধারণ মানুষ সেনা শাসন পছন্দ করে না। সত্যিকারের ইসলামী বিপ্লবের ঢেউ উঠলে এরা সহায়ক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারত যেমন পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রী দেশ, ভারত বিশ্বের দলিত বা মুস্তাদআফদেরও সর্ববৃহৎ বাসস্থান। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মুস্তাদআফরা একত্র হলে এ এলাকাটি একটি মুস্তাদআফ জনগোষ্ঠির মহাসমুদ্র। এ থেকে খাতামুন নাবিয়্যীন সঃ এর বেলাল, যায়দ ও উসামাদের ঝড় উঠলে তা নিঃসন্দেহে বিশ্বের মুস্তাকবির নির্মূলের নূহের তুফান হবে। তাই ঈমানদার মানুষ মাত্রেরই রাসূল সঃ এর কথিত গাযওয়াতুল হিন্দ বা ভারতীয় অভিযানকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। সমসাময়িক পরিবর্তন সমূহ বিবেচনায় গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় কোনো অবস্থাতেই বিজাতীয় পরাধীনতা থেকে মুক্তি আন্দোলনের ফল নয়। উপরে উল্লেখিত আরবী, মুঘল, পাঠান ও বৃটিশ উপনিবেশবাদের জঞ্জালের আবর্জনায় জন্মানো দেশীয় উপনিবেশবাদী সেনা শাসক, আমলা শোষক, পুলিশ দুর্বৃত্ত ও রাজনৈতিক বাটপারদের পশ্চিম পাকিস্তানী ও পূর্ব পাকিস্তানী স্বার্থের ভাগ-বাটোয়ারা দ্বন্দ্বের সংঘাতে ভারতীয় রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রয়োজনে মুখ্যতঃ বাংলাদেশের সৃষ্টি। দীর্ঘদিনের ব্রাহ্মণ্যবাদ, মুঘল, পাঠান-শোষক, বৃটিশ বেনিয়া উপনিবেশবাদের অভিশাপ এবং পাকিস্তানী শাসনের বৈমাত্রের বৈষম্যে পিষ্ট বাংলার নির্যাতিত মুস্তাদআফরা এ স্বার্থ সংঘাতের ফাঁকে ছদ্মবেশী আশীর্বাদরূপে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন দেশ পায়। আজো তাদের মুক্তি আসেনি। সত্যিকারের মুক্তির জন্য এবার তাদের চূড়ান্ত সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে হবে। নবী আদর্শের আল্লাহর নির্দেশিত “গাযওয়াতুল হিন্দ”ই বাংলাদেশে সে নূরের মিনার নির্মাণ করবে, যা প্রথমে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের বঞ্চিত মানুষকে মুক্তির আলো দেখাবে। তারপর বিশ্ব মুক্তির চূড়ান্ত বিজয় ভারতবর্ষ থেকে সূচিত হবে। ইনশা আল্লাহ ।
পৃথিবীতে বাবা আদমের আগমন থেকে গোটা মানবজাতির ইতিহাসের এ চূড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি লগ্নে সহায়ক শক্তি ও শত্রু শক্তি চিহ্নিত করতে নবুওতী ঈমানের মানদণ্ড বুঝতে ও বুঝাতে হবে ।
রাসূল সঃ এর মক্কা থেকে মদীনা হিজরত ও তারপর তাঁর দশ বছরের আদর্শ আমাদের কষ্টিপাথর । তা থেকে বিচ্যুত হলেই “ আল আইম্মাতু মিন ক্বোরেশ ”এর গোত্রবাদী বৈষম্য অনুপ্রবেশ করে ঊমাইয়া আব্বাসী দস্যুবাদ আরম্ভ হয়ে মোঘল, পাঠান জিন্দাবাদ, পাকিস্তান জিন্দাবাদ চালু হয়ে তা বাংলায় অনুদিত হয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু , জয় জিয়া হয়ে পুনঃ হাসিনা খালেদার পারিবারিক উত্তরাধিকারের লড়াইয়ের রূপ নিবে, যা বাংলাদেশকে বর্তমান গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি করেছে ।
পাকিস্তানী ইসলামবর্জিত সাম্প্রদায়িক হিংস্রতায় রমনায় হিন্দুদের কালিমন্দির ভাঙ্গা অন্যায় বিবেচিত হয়ে যেভাবে তার পুণঃ নির্মাণ মেনে নেয়া যায়, সেভাবে ইসলাম ও ঈমানী আদর্শে পাকিস্তানীদের পরাজয়ের বা আত্মসমর্পনের স্মৃতিতে শিখাচিরন্তন নির্মাণ কোন অবস্থাতেই অনুমোদনযোগ্য নয় । শেখ মুজিবের সাতই মার্চের ভাষণস্থল ও ইন্দিরা মঞ্চ কখনো এক নয় । প্রথমটি পাকিস্তানের কাঠামোতে ভাই ভাইতে উন্নয়নের অংশিদারিত্বের দাবীর ঘোষণা ছিলো। দ্বিতীয়টি ছিলো হাজার বছরের মুসলিম শাসনের বদলা নেয়ার ইন্দিরা গান্ধীর উল্লাস উৎসব। পাকিস্তানীদের পতন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় কালে ইন্দিরা গান্ধী তার ভাষণে যে বলেছিলো, Pakistan is cut to its size, তারই প্রতিচ্ছবি এই শিখা স্তম্ভ। এ স্মৃতিস্তম্ভ ইন্দিরা গান্ধী তার দেশে করলে তাতে আমাদের কারোরই কোনো আপত্তি করার থাকতো না।
ইসলামে মুসলিমদের জনগণের কল্যাণে নির্মাণ বৈধ। কিন্তু রাষ্ট্রীয় ভান্ডার থেকে জনগণের পয়সা অপচয় করে যে কোনো নির্মাণ নিষিদ্ধ। অগ্নীপূজা সাদৃশ্য শিখা দূরে থাক, স্মৃতিসৌধ নির্মাণকেও আল্লাহ স্বয়ং তিরস্কার করে আল ক্বোর’আনে বলেছেন।
“তোমরা কি প্রত্যেক দর্শনীয় স্থানে অপচয় করে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করো? এমন কীর্তি স্থাপন করছো যাতে তোমরা চিরস্মরণীয় হতে পারো? যখনই তোমরা ক্ষমতা হাতে পাও, তখনই দমননীতি চালাও? তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমাকে (রাসূলকে) অনুসরণ করো।” (সূরাঃ শোআরা-১২৮-১৩১)
এখানে সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতা, জাতি গোষ্ঠীর বৈষম্যবাদী এবং হীন রাজনৈতিক অন্ধত্বে নিমজ্জিত মানুষদের সম্পর্কে আল্লাহর দ্বীনের অনুসারী ঈমানদারদের চিরতরে একটি সত্য সবসময়ে মনে রাখতে হবে যে এরা কখনো প্রথম শ্রেণীর ঈমানদার হবে না!
প্রথম শ্রেণীর ঈমানদাররা প্রথমে ও শেষে শুধু মুসলিম, তারা কখনো বলবে না যে “আমরা প্রথমে মুসলিম, পরে আরব”। তাদের কথা ও কাজ হবে “আমরা প্রথম ও শেষে শুধু মুসলিম”। জাতীয়তা গ্রহণের চাপ আসলে তারা দেশ ত্যাগ করবে তবুও জাতীয়তার জাহিলিয়্যাত মেনে নেবেনা।
দ্বিতীয় শ্রেণীর মানব, যারা বলে এবং বলতে রাজী হয় যে তারা প্রথমে মুসলিম, তারপর তারা বাংগালী বা আরবী। এ শ্রেণীর মানুষ দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষ ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ঈমানদার হতে পারে। কিন্তু যারা বলতে পারে এবং বলবে, তারা প্রথমে আরবী বা বাঙ্গালী, ইরানী, আফগানী তারপর মুসলিম ও মু’মিন। এরা কখনো মু’মিন বা মুসলিম হবে না, হতে পারেনা। এরা নিকৃষ্ট মানব প্রজাতি। তদরূপ যারা প্রথমে মাযহাব ও সাম্প্রদায়িকতার ধারকবাহক হয়, যেমন প্রথমে তারা শিয়া বা সুন্নী, হানাফী বা শাফেঈ, তারপর তারা মুসলিম তারাও কখনো আল্লাহ ও রাসূলদের অনুসারী মুসলিম হতে পারেনা, পারবেনা।
গায্ওয়াতুল হিন্দের মতো বিশ্ব মুস্তাদ’আফদের চূড়ান্ত অভিযান শুধু প্রথম শ্রেণীর নেতৃত্বে হতে হবে। দ্বিতীয় শ্রেণী অনুসারী হতে পারে। নেতা বা আদর্শ নয়। তারপরেও তাদের উপর নজরদারী থাকবে যাতে তারা তৃতীয় শ্রেণীর রোগে সংক্রামিত না হয়। এভাবে মুসলিম জাত বা উম্মাহর রক্ষণাবেক্ষণ ও ঘষা মাজা অব্যাহত রাখার নির্দেশ।
“আল্লাহরকে ভয় করে সর্বদা জাত সংরক্ষণে রত থাকবে। (আনফাল-১)
জাতিগোষ্ঠী স্বার্থদ্বন্দ্বে যারা বিরোধীদের প্রাণহরণ, ধনসম্পদ লুণ্ঠন, বাড়িঘর দখল ও নারী ধর্ষণের মতো পৈশাচিকতা করতে পারে, তারা কোন অনস্থাতেই মানবজাত ও সমাজের কল্যাণী সংগ্রাম ও শাসনের নেতৃত্ব দিতে পারে না।
এ অর্থে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগকালে হিন্দুত্ববাদের জনসংঘ ও শিবসেনা এবং মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার মুসলিমলীগী নেতা জিন্না ও সোহরাওয়ার্দীদের ডাইরেক্ট অ্যাকশন এবং এর ফলে সংগঠিত নির্বিচার হত্যা, নারী ধর্ষণ ও নারী অপহরণ যে ইতরবৃত্তি ছিলো, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী দুঃশাসনের শেষ নরপশু ইয়াহইয়া খাঁ ও তার দোসররা এবং অপর পক্ষের গণহত্যার সংঘাত সৃষ্টিকারীরা একই পাশব পৈশাচিকতার প্রজন্ম। এদের মাঝে ভাষার তফাৎ ব্যতীত অন্য কোনো পার্থক্য ছিলোনা এবং এখনো নেই। তখনকার নির্বাচনী প্রতারণা ও বর্তমান নির্বাচনী প্রতারণায় কোন পার্থক্য নেই।
ইনশা আল্লাহ, স্বদেশী, বিদেশী, ব্রাহ্মণ্যবাদী, উপনিবেশবাদী এবং সর্বশেষ বাংগালী জাতীয়তাবাদী শোষণবাদী সন্ত্রাসে নিঃশেষিত বাংলাদেশ থেকেই আখেরী নবীর “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর সূর্য উদিত হবে।
বাংলাদেশের গ্রামীন কৃষক মজুর ও সাধারণ জনগণ উসামার প্রজন্ম। হাসিনার পিতৃপূজা ও খালেদার স্বামী পূজার রাজনীতি উমাইয়্যা আব্বাসী জাহিলিয়্যাতের বাংলাদেশী সংস্করণ। এ দু’নারীর পেছনে সমবেত গণতন্ত্রী নেতাকর্মীরা দাইউস ও মুস্তাকবির তাগুত। জাতির সীমাহীন খোদাদ্রোহী পাপে আল্লাহ এ দুই ঘরভাঙ্গা নারীকে মাঠে ছেড়ে দিয়েছেন জাতির সম্পূর্ণ ধ্বংস অথবা উত্থানের জন্য। জাতির পুরুষরা নবী সঃ এর আদর্শে যায়দ, উসামা হয়ে তওবা করা মাত্রই এ ক্ষুদ্র দেশ থেকে বিশ্বের মুস্তাদআফদের নূহের তুফান উঠবে।
বাঙ্গালীরা তওবা করে মানুষ না হলে পারস্য সাম্রাজ্যের পতনের পূর্বে পুরান্দাখত ও আজরমিদাখত ছিলেন “পারস্য সাম্রাজ্যের শেষ” সে পরিণাম হবে বাংলাদেশের। দেশের বর্তমান নৈরাজ্যে গৃহ যুদ্ধ শুরু হবে। মানুষ নিরাশ হয়ে মুক্তির পথ খুঁজবে। সে ফাঁকে “আমরা হব তালেবান, বাংলা হবে আফগান” বলা বিভ্রান্ত উন্মাদ শ্রেণী ময়দানে নেমে পড়তে পারে। ভ্রান্ত মুসলমানী মোঘল পাঠান জযবায় এ দেশের জন সাধারণ তাতে পঙ্গপালের মত ঝাপিয়ে পড়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। কারণ বর্তমান সরকারী রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ও বেসরকারী সন্ত্রাস এবং এনজিওদের ধর্মবিরোধী কার্যকলাপকে দেশের সাধারণ জনগন ভারতীয় ব্রাহ্মণবাদ ও বিদেশী আধিপত্যবাদের থাবা মনে করে ভিতরে ভিতরে দিন দিন রোষে উঠেছে। সেনাবাহিনী বিশেষ করে বি,ডি আরের সাধারণ সৈনিকদের মনের অবস্থা কি তা কুড়িগ্রামের ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়া সময়ের ডাক।
২০০০ সালের শীত মৌসুমে আমি আল্লাহর তরফ থেকে ঘাড়ে পড়া এক ব্যবসায়ীর কারণে বেশ কিছুদিন উত্তর বঙ্গে কাটিয়েছিলাম। তখন আমি তেতুলিয়া, বুড়িমারা, দহগ্রাম ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত সফর করেছি। এক পর্যায়ে তেতুলিয়া থেকে ফেরার পথে আমার কারখানার মালবাহী গাড়ি খালী দেখে কিছু বিডিআর সদস্য আমাদের কাছে লিফট চায়। গাড়ী খালি থাকায় আমি সানন্দে তাদেরকে গাড়িতে তুলে নেই।
আমার কথাবার্তায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের উল্লেখ শুনতে পেয়ে বিডিআর জওয়ানরা আর নিরব রইলো না। বরং তারা যেনো তাদের অন্তরে লুকানো আগ্নেয়গিরীর দহজ্বলা ব্যক্ত করার ইঙ্গিত পেলো। ঘটনাক্রমে সেদিন আমার সাথে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের এক ওয়ার্ড কমিশনারও ছিলো।
আমাদের কাছে আমাদের সীমান্ত প্রহরীরা মন খুলে তাদের অন্তর চাপা ক্ষোভের দ্ব্যর্থহীন প্রকাশ করতে লাগল। পথিমধ্যে আমাদের গাড়ি থামিয়ে গাড়ি থেকে নেমে তারা ভারতীয় বিএসএফের নির্বিচার যথেচ্ছাচারের প্রমাণ স্বরুপ কিছু স্পট ও তার বিবরণ দিলো।
তাদের ক্ষোভের উৎস হলো যে ভারত তার শক্তিমদে উন্মত্ত হয়ে যখন তখন বাংলাদেশী নাগরিকদের হাঁস মুরগির মত গুলি করে হত্যা করে। সীমানা লঙ্ঘন করে অনুপ্রবেশ করে লুটতরাজ করে। বিডিআর দের তারা কোন পাত্তাই দেয় না। অথচ তাদের মতে, পাকিস্তান আমলে ভারতীয় সৈন্যরা এক কিলোমিটার অভ্যন্তরে দূরত্ব বজায় রেখে আত্নরক্ষামূলক অবস্থান নিয়ে থাকত।
তারা আরও জানালো যে, বাংলাদেশী সরকারগুলোর নতজানু মূলক অবস্থায় বি, ডি, আরের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ষাট হাজার থেকে চল্লিশ হাজারে নেমেছে । অস্ত্রশস্ত্র, পোষাক-আশাক, অপরিহার্য যানবাহন ও অন্যান্য সুবিধার অভাবে বিডিআররা চাকুরী ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দহগ্রাম ও তিন বিঘা করিডোরেও ঠিক একই ক্ষোভ ও নৈরাশ্যের দহন অনুভব করলাম। দেড় বছর পর কুড়িগ্রামে সীমান্ত সংঘর্ষে যা ঘটেছে, তা কিন্তু দ্যর্থহীন সংকেতবার্তা। সময় থাকতে সঠিক পন্থা অবলম্বন না করলে আমার শঙ্কা হচ্ছে যে ক্ষুদ্র দেশটিতে এমন এক বিস্ফোরণ হবে, যা সারা বিশ্বে আগুন জ্বলবে। প্রথম আগ্নোৎপাতেই এদেশের কোন সরকার থাকবে না । মনে রাখতে হবে যে, এদেশের মানুষের মধ্যে রক্তে, মজ্জায় ইসলামী বারুদ রয়েছে। চরম নৈরাশ্যের মূহুর্তে কেউ এক স্ফুলিঙ্গ জ্বলন্ত কয়লা নিক্ষেপ করতেই দাবানলের ন্যায় তা চারদিকে ছড়িয়ে যাবে । একবার পূর্ব পুরুষের ইসলামী ঐতিহ্যের কথা বলতে গিয়ে শেখ মুজিব আমাকে বলেছে যে, তার পূর্ব পুরুষদের গোপালগঞ্জে হিন্দুদের সাথে বংশ পরম্পরায় শসস্ত্র সংগ্রাম করে অস্তিত্ব বজায় রাখতে হয়েছে।
এমন ভারতীয় অধিপত্যবাদের সেবাদাস যে কোন সরকার বর্তমান দ্রুত অবনতিশীল অবস্থাকে না রুখলে নির্বাচনের পর সিপাহী জনতা ও প্রতিক্রিয়াশীল ধর্মান্ধ শক্তি এক হয়ে কোন দাড়ি পাগড়ীওয়ালা উগ্রবাদী উসামা বিন লাদেন ধাঁচে ভারত ও পশ্চিমা ইসলাম বিরোধিদের বিরুদ্ধে “আমরা হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান” ধ্বনি তুললে তা এদেশের শহর এলাকার শাসক শোষক কিছু লোক বাদে গোটা জাতিকে আত্নাহুতির ন্যায় এক গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিতে পারে বলে আমি হুশিয়ারি উচ্চারন করছি।
উসামা বিন লাদেন ও আফগানী ইংগীত পেলেই তাকে ঠেকাতে রামরাজ্যের ভারতীয় ব্রাহ্মনবাদ ও বিশ্ব ইহুদী খৃষ্টান চক্র মিত্রশক্তি হয়ে তাওরাত বাইবেলের মহা লড়াই “আর্মাগেড্ডন” এর সূত্রপাত এ বাংলাদেশ থেকে করবে বলে আমার আশঙ্কা হচ্ছে। সাবধান! সাবধান!!
বিশ্বের ইবলীশি চক্রের কৃতদাস , উপনিবেশবাদের বিদায় কালে পরিত্যাক্ত জঞ্জালে জন্মানো সরকার ও তাদের আমলা ও পুলিশ কর্মকরতারা দাড়ি টুপিওয়ালা লোকদের বিশেষ করে মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্রদের তালেবান বলে তাদের ধরে দাড়ি টুপিকে যেভাবে বর্বর জিঘাংসার টার্গেট বানিয়েছে ও বানাচ্ছে । তাতে ভেতরে ভেতরে এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের লাভা সৃষ্টি করেছে।
কদিন পূর্বে পত্রিকায় খবর ছেপেছে যে, খুলনার কোথাও নাকি পনের জন মাদরাসার ছাত্রদের, তাদের সুন্দরবন বেড়াতে যাওয়ার পথে ধরে তাদের তালেবান ও হারকাতুল জিহাদের প্রশিক্ষণার্থী রুপে চিহ্নিত করে, ডি,সি এস, পি ও দারোগারা যুবকদের দাড়ি টেনে ছিড়েছে।
এ যদি সত্যি হয়, তাহলে খুবই অশুভ লক্ষন। ডি, সি, এস, পিরা, তোমরা সাবধান হয়ে যাও। তোমাদের বাপ-দাদারা এখনও এক বিরাট সংখ্যক দাড়ি টুপিওয়ালা!
তোমরা এদেশের উন্নয়নের তহবিলের শতকরা ৭০ (সত্তর) ভাগ লুটনেওয়ালাদের অন্তর্ভুক্ত। পুলিশ প্রতি পাঁচ জনে এক জন অপরাধী! তোমাদের সরকার বিশ্বের প্রথম দূর্নীতিবাজ! তোমাদের অত্যাচারে আসল চরমপন্থিরা জামা-জুব্বা, টুপি ও বেশ খুলে রোজ দু’বার দাড়ি শেভ করে স্কীন টাইট প্যান্ট, শার্ট ধরেছে বলে খবর আসছে। সরকারসহ তোমাদের শুভ বুদ্ধি না হলে পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আমি আশঙ্কা করছি। তোমাদের অত্যাচারে বিষিয়ে ওরা কিন্তু তোমাদের চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করতে পারে। বাতাস দিক পরিবর্তন করলে তোমাদের ভাগ্য একাত্তর সালের পাকবাহিনীর চেয়েও খারাপ হয়ে কুড়িগ্রাম, রৌমারীর বি এস এফের চেয়েও বীভৎস হতে পারে। বাঙ্গালীরা এমনিতেই ক্ষেপে গেলে চরম নৃসংস হয়। তাদের ধর্মীয় শেষ পুঁজিতে হাত দিলে পরিণতি কিরুপ হতে পারে, তাই আগে থেকেই ভেবে নিতে আমি কর্তৃপক্ষকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। আমি যেহেতু সকল গোপন কর্মকান্ড, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও ধর্মান্ধতা বিরোধী, তাই উগ্রবাদীরা আমার কাছে ভিড়ছেনা। দূরত্ব বজায় রেখে তারা আমার বক্তব্য ও লিখনি পড়ছে। তাদের দেশী বিদেশী মুরুব্বীদের নিকট আমার দিকদর্শন তারা পৌছাচ্ছে। শিয়া, সুন্নী ও আফগান, ইরানী ফিৎনায় আমি নেই তারা জানে, তাদের “আমর হবো তালেবান, বাংলা হবে আফগান” এর সম্পূর্ণ বিপরীত ডাক “আমরা হবো উসামা, বাংলা হবো মদীনা” আমি তাদের জানিয়ে দিয়েছি।
আল কুরআনে আল্লাহর অঙ্গিকারের বিশ্বের প্রতারিত ও নির্যাতিত মুস্তাদআফদের শেষ আদর্শ নবীর মাদানী জীবনের সংগ্রামের ফসলের সর্বোৎকৃষ্ট নমুনা, তাঁর পালক মাতা বারাকাহ, পালক পুত্র , আল্লাহর মুখে ক্বোরআনে বর্ণিত যায়েদ ইবন হারিসার ছেলে ও রাসূল সঃ এর ভূপৃষ্ঠে প্রিয়তম দম্পতির পরীক্ষিত সন্তান, সতের বছরের সিংহের সিংহ তেজা উসামাহ ও তার মদিনার আদর্শই
এ পরিচয় ফলক বর্ণবৈষম্যবাদী ইরানী খোমেনী ও আফগানী বিন লাদেনবাদীরা না পারছে গ্রহন করতে না পারছে অস্বীকার করতে। কারণ ইরানি খোমেনী, খামেনাঈ’রা যে মুস্তাদআফদের নাম বেঁচে বিপ্লব করেছে, রাসূল সঃ এর মাদানী বিপ্লবের চূড়ান্ত নিয়োগই ছিলো উসামা বিন যায়েদ। আফগানী তালেবানদের উসামা বিন লাদেনদের চমক বা ষ্টান্ট, সুন্নী-আরবী এক অশুভ ইরানী শিয়া বিরোধী আঁতাত। তাই তারাও রাসূল সঃ এর বিশ্বজনীন মুস্তাদআফ উসামা বিন যায়েদ দিক দর্শন গ্রহণ বা বর্জন করতে পারছে না।
এখানে পাঠকদের জন্য আমি একশ’ভাগ দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে, বাংলাদেশে যদি কখনো উসামা বিন লাদেন ও আফগানী তালেবান মতাদর্শের সংঘাত আরম্ভ হয়, তা’তো কখনো সফল হইবে না, বরং তার ফলে আল্লাহর আযাব স্বরূপ এ দেশী মুসলমানদের উপর ভারত, রাশিয়া, আমেরিকা ও ইয়াহুদী চক্র এমনভাবে দেশীয় ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী সরকার ও ধর্মদ্রোহীদের লেলিয়ে দিবে যে তা, স্পেন, বাগদাদ ও দিল্লীতে উমাইয়া, আব্বাসী ও মুঘলদের পরিণাম ডেকে আনবে। এদেশের মাটি থেকে ইসলামী পুনরুত্থানের সম্ভাবনাময় সকল শক্তিকে নির্মূল করার জন্য সকল মদদ যোগাবে বিশ্বের ইসলামের শত্রুরা । যেমন আফগানিস্তানের তালেবানী নামক ইসলামকে ঠেকাতে আরেক নকল ইসলামী ইরান সহ আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল ও ভারত একজোট হয়েছে।
অপর দিকে আমি একশ’ভাগ নিশ্চিত হয়ে বলছি যে যদি বাংলাদেশ থেকে “আমরা হবো উসামা, বাংলা হবে মদীনা” এ ঘোষণা ও পতাকা নিয়ে বিশ্ব মুস্তাদআফদের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তার পক্ষে একশ’ভাগ আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য আসবে, যেমনটি এসেছিলো আমাদের খাতামুন নাবিয়্যীন সঃ এর হিজরত কালে সওর গুহায় এবং হুনাইনের যুদ্ধে। কারণ ও প্রমান হলো, এ যুদ্ধ হবে বিশ্বের মুস্তাদ’আফদের মুক্তি ও তাদের অভিষেকের যার চুড়ান্ত ওয়াদা আল্লাহ জাল্লা জালালুহু আল কুরআনে সূরা ক্বাসাস এর ৫-৬ নং আয়াতে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় করেছেন। মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সঃ তারই পতাকা বেধে উসামার হাতে দিয়ে গিয়ে ছিলেন। তা’ অমান্য করে ক্বোরেশী সাম্রাজ্যবাদীরা যেমন অভিশপ্ত হয়ে নির্মূল হয়েছে, এবারের চূড়ান্ত মুক্তি সংগ্রামে বাধা দিলে সর্বপ্রথম ব্রাহ্মণ্যবাদী ভারত সর্বপ্রথম তাসের ঘরের মত মিলিয়ে যাবে। তার সাথে তার মিত্রদের একই পরিণাম হবে। তবে এ “গাযওয়াতুল হিন্দের” ইমাম ও সৈনিক নেতৃত্ব যেমন পাক, আফগান ও তালেবানী ইরানী ভ্রান্ত জঙ্গিবাদের সকল জীবাণু সংক্রমণ মুক্ত হতে হবে, তেমন ভারতীয় হিন্দুত্ববাদের সেবাদাস মূর্তিবাহিনী ও ফুর্তিবাহিনীর ঘাদানিক চক্রমুক্ত হতে হবে। আল্লাহ ও রাসূলের সুন্নাহর সৈনিক আমার মরহুম পিতা ইসলামের মাদানী আদর্শের ধারক বাহকরুপে পাকিস্তানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তার মুখে ২৭ শে রমজান অর্থাৎ শবে কদরের পাকিস্তানের জন্মের অঙ্গীকারের কথা শুনেছি। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠার পর ঘনিষ্ঠভাবে জিন্নাহ, লিয়াকত আলীর চেহারা সুরত দেখেই ,তিনি ওদের মুখের উপর ভরা মজলিসে তিরস্কার করে বলেছিলেন “যারা থুতনিতে দাড়ির লোমের এর এক তোলা পশমের ওজন বহন করার ঈমান রাখেনা, তারা পাকিস্তানের মাদানী আদর্শের নেতা হওয়ার অযোগ্য।” ১৮৪৪ সালে। জিন্নাহ, লিয়াকতের বাঙ্গালী ফেউ, বর্তমান বামবুদ্ধির ঢেকী বদরুদ্দিন ওমরের প্রয়াত পিতা পাকিস্তানি ইসলামিক একাডেমী ও বাংলাদেশ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আবুল হাশেম ও তার চেলা শাহ আজিজ শর্ষিনায় গেলে তাদেরও চেহারা চরিত্র দেখে আমার পিতা ঐ দাড়ির লোমের ভার বহনের যোগ্যতাহীনতার পুনরুল্লেখ করে ওদের ভর্ৎসনা করছিলেন।
আমি পাকিস্তানের মাদানী আদর্শের ২৭ শে রমজানের জন্মের মর্মে পাকিস্তানের সমর্থক ছিলাম তাই এখন সে আদর্শ বাস্তবায়নের একমাত্র লক্ষ্যে বর্তমান “গাযওয়াতুল হিন্দের” রুপরেখা লিখছি। পাকিস্তানি দলাদলির গণতান্ত্রিক নির্বাচনী রাজনীতিকে আমি যেমন ধর্মের নামে নির্লজ্জ দাজ্জালি মনে করে ঘৃণা করেছি, বর্তমান বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদী ধর্মনিরপেক্ষতার রাজনীতিকেও তেমনি বাংলাদেশের ষোল কোটি মুসলমানদের উপর আল্লাহর লা’নতের শেষ পরীক্ষা মনে করি।
বাঙ্গালিরা তওবা করে রাসূলের আদর্শে যায়দ, বেলাল, আম্মার, সুহাইব, আবু যার, সালমান ও উসামার শপথ ও বায়’আত নেয়া মাত্রই তারা বিশ্বের মুস্তাদ’আফদের মুক্তিযুদ্ধের অগ্রসেনা হবে এবং তাদের অভিযানই “গাযওয়াতুল হিন্দ” এর রুপ নিবে। উপমহাদেশের সোয়া’শ কোটি নির্যাতিতদের শীর্ষে বাংলাদেশের জনগণ। গুটিকতক শহরের হাতেগোনা পনের বিশ লাখ শোষক মুস্তাকবিরদের নির্মূল করা মাত্রই বাংলাদেশ আল্লাহর সৈনিকদের হীরের খনি হবে।
ইনশা আল্লাহ। তার সকল লক্ষণ আমি দিব্য দৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি।
ইসলামে, অর্থাৎ স্রষ্টার বিধানে আকার প্রকারের নগর জীবন নিষিদ্ধ। এগুলির প্রতিষ্ঠাতা আদ, সামুদ, নমরুদ ও ফের’আউনরা। আল্লাহর নবী নূহ, ইবরাহীম, মূসা ও মুহাম্মদ সঃ গন এ সমস্ত নগর ভেঙ্গে গ্রামের অধীনে নেয়ার সংগ্রামে আদিষ্ট হয়ে ছিলেন। তাই তার তাদের সমসাময়িক শোষক রাজশক্তিকে পরাজিত করে শোষিতের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে যান। রাজধানী ও নগর হবে একটি আদর্শ গ্রাম। এর প্রত্যেকটি বাসিন্দা তালিকা ভুক্ত চেনা লোক হবে। বাহির থেকে নগরে সাময়িক প্রয়োজনে যাতায়াতকারীরা নগরবাসীর মেহমান স্বরুপ হবে। ফলে কোন অপরাধী নগরে আশ্রয় বা লুকানোর যায়গা পাবে না।
বর্তমান নগরী হলো দেশের দেহে ক্যান্সার বা দুষ্টক্ষত। এর শাসক ও আমলারা জাতির বর্গি শোষক। এদের প্রয়োজনে ও আশ্রয়ে অপরাধী চক্রের জন্ম ও লালন হয়। তাই স্রষ্টার মুস্তাদআফ সংস্কারের প্রথম লক্ষ্যই হলো মুস্তাকবির শহর উৎখাত করা।
নবী আদর্শের মাদানী বিপ্লবের প্রথম কাজই হলো নগরায়নের Malignant Growth জায়গায় থামিয়ে দিয়ে উন্নয়নের স্রোত গ্রামের দিকে মোড় দেয়া। তখনই “একটি পরিবার একটি খামার” এর উন্নয়ন সম্ভব হবে। এ অবশ্যকরণীয় বাস্তবায়নের জন্য ঢাকার মত নগরীর শতকরা দশ ভাগ বসতি রেখে বাকী জনসংখ্যাকে উৎপাদনের ক্ষেত্রে গ্রামে পাঠাতে হবে। নগর জীবন বা নগর কখনো উন্নয়নের কেন্দ্র থাকবেনা। বলা যেতে পারে যে উন্নয়নের প্রশিক্ষণ, প্রণোদন, প্রবর্তন ও নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্ররূপে নগরীর ভূমিকা থাকবে। এর উর্ধে নয়। নগরী জীবন কোন মতেই ভোগ বিলাসের স্বর্গপুরী হবেনা। ত্যাগ, সাধনা ও সেবা ধর্মের তীর্থ ও কেবলা হবে নগরী। পুলিশ নামের কীটদের অপরাধী জন্মের সুতিকাগাররূপে নগরকে সম্পূর্ণরূপে ধোলাই করতে হবে। এ শপথই আল্লাহ হযরত ইব্রাহীম খলীল ও ইসমাইল যবীহ হতে নিয়েছিলেন। ঈমানদার জনগোষ্ঠীর নগর পত্তনের আদর্শ মক্কা। শেষ নবী মুহাম্মাদ সাঃ তাঁর চূড়ান্ত রূপকার। তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীর “গাযওয়াতুল হিন্দ” দ্বারাই মুস্তাদআফূনের মুক্তি সংগ্রাম হয়ে বিশ্বে বেশ্যা নরনারীর বেশ্যায়ন নির্মূল হয়ে ঈমান ও বিশ্বাসের বিশ্বায়ন হবে। ইনশা আল্লাহ।
বর্তমানে বাংলাদেশ যে অবস্থায় অবস্থান করছে, “গাযওয়াতুল হিন্দের” অভিযান ছাড়া এ দেশ ও জাতির আর কোন বাঁচার পথ নেই। তাই সাবধান! সাবধান!! সাবধান!!!
মানব ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ সন্তানরা, ছুটো আল্লাহর পানে। শপথ নাও। প্রশিক্ষণ নাও। তোমরা আদম সন্তানদের শ্রেষ্ঠতম সৌভাগ্যবান হবে। ক্বেয়ামতের দিন নবী রাসূলগণ তোমাদের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হবেন। এর উর্ধে মানুষের কিছু চাওয়া পাওয়া হতে পারে?! হ্যাঁ, একটিই প্রাপ্য রয়েছে, তা হলো, আল্লাহ তাঁর স্ব-রূপে আমাদের চর্মচক্ষুর সামনে আমাদের তাঁর সাক্ষাৎ দান করবেন। সে দীদারের আশায়ই পৃথিবীর সকল তাগুতের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রাম, এ গাযওয়াতুল হিন্দের ঘোষণাপত্র লিখছি। আমীন।
সৃষ্টি থেকে বিমুখ হয়ে স্রষ্টার উন্মুখ হওয়ার কলেমাই “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”। এ কলেমার বিশ্বায়নই মুহাম্মাদ রাহমাতুল্লিল আলামীনের রিসালাত। এ কলেমায় যাদের ত্রুটি থাকবে তারা এ জিহাদের সৈনিক হওয়ার অযোগ্য। তাদের কারও স্থান নেই এ কাফেলায়।
“আমরা হবো উসামাহ, বাংলা হবে মদীনাহ”
“আমরা হবো তালেবান। বাংলা হবে আফগান”
“আস্ আইম্মাতু মিন্ ক্বোরেশ”
“পাকিস্তান জিন্দাবাদ”
“জয় হিন্দ”
“জয় বাংলা”
“জয় দেশবন্ধু”
“জয় বঙ্গবন্ধু”
এ সমস্ত স্লোগানের মধ্যে প্রথমটি বাদে বাকি সবগুলো, সাম্প্রদায়িকতা, রক্তপূজা, গোত্রপূজা, জাতীয়তাবাদ ও ব্যক্তি পূজার নামান্তর।
এতে স্রষ্টাকে বাদ দিয়ে সৃষ্টির পূজা।
এতে “সকল প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের” ঘোষণা, “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা।
আল্লাহ মুত্তাকীদের ভালোবাসেন।
নবী-রাসুলগণ আল্লাহর প্রিয়।
আখেরী নবী সঃ সকল নবীদের শেষ।
নাবী-রাসূলগণ মুস্তাক্বিরদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মুস্তাদআফ্ ছিলেন।
সমাজের নির্যাতিত মুস্তাদআফ্রা নবীদের সঙ্গী হয়ে মুহাজির ও আনসার হয়ে আল্লাহ ও রাসূলের প্রিয়পাত্র হয়। এদের মধ্যে কেউ কখনো গোত্র ও বর্ণবাদের কথা বললেই পুনঃ তারা মুস্তাকবিরদের কাতারে শামিল ও একাকার হয়ে যায়।
খাতামুন নাবিয়্যীন সঃ মুস্তাদআফ্দের চূড়ান্ত বিশ্ব ইমাম। তিনি তাঁর প্রিয়তম মুস্তাদআফ্ পিতা যায়দ, মাতা বারাকাহদের সন্তান উসামাকে তাঁর “দারুল হিজরত” মদীনায় তাঁর মৃত্যুর পূর্বে সম্মিলিত মুহাজির ও আনসারদের আমীর ও প্রধান সেনাপতি নিয়োগ করে স্বহস্তে পতাকা বেঁধে হাতে দিয়ে যান। উসামার মা, বারাকাহকে দিয়ে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে পালন করেন। রাসূল তাকে ভূ-পৃষ্ঠে চলমান বেহেশ্ত বলেছেন।
উসামার পিতাকে আল্লাহ আল্ ক্বোরআনে তাঁর “পুরস্কৃত” বলে চিরস্মরণীয় ও বরণীয় করেছেন।
তাদের ছেলে উসামাহকে “হিব্ব ইব্নুল হিব্ব” প্রিয়দের সন্তান “প্রিয়” বলে অভিষিক্ত করেছেন। মদীনাবাসীদের সম্পর্কে রাসূল সাঃ বলেছেন, “বিশ্বের মানুষ যদি এক দিকে যায়, আর মদীনা বাসী যদি অপর দিকে যায়, আমি অবশ্যই মদীনাবাসীর সঙ্গী হবো”।
তাই “আমরা হবো উসামাহ্ বাংলা হবে মদীনাহ্” আমাদের চূড়ান্ত ধ্বনি। আরব, ইরাক, তুরান, আফ্গান, পাকিস্তান, হিন্দুস্তান ও বাংলার জয়গান আমাদের ধ্বনি হবেনা।
১৯৭১ সালে নিছক পাকিস্তান ও জয় বাংলার জন্য যারা আল্লাহর সীমা লঙ্ঘন করেছে, তারা গায্ওয়াতুল হিন্দের নেতৃত্বের অযোগ্য।
সে অগ্নি পরীক্ষার দিনে যারা উভয় সীমালঙ্ঘনকারীর মধ্যে মুস্তাদআফ্ হয়েছে, এবং এখনো সে অবস্থানকে যে নতুন প্রজন্মের আদর্শ মনে করে, তারাই হবে আগামী দিনের বিশ্বায়নের সংগ্রাম গায্ওয়াতুল হিন্দের অগ্রপথিক, অগ্রসেনা।
একাত্তরে অগ্নিপরীক্ষার লগ্নে যারা ভাবাবেগে পদস্খলিত হয়েছিল এবং পরবর্তি ঘটনা বর্তমানে তাদের সঠিক দিক নির্দেশনা দিচ্ছে, তারা তাদের বিবেকের পক্ষে দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা দিয়ে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” এর ধরা ও সপ্ত আকাশের একমাত্র সত্যপতাকা হাতে নিলে, তারাও সৈনিকের কাতারে স্বাগত।
একাত্তরের যারা মার্কা মারা হয়ে এখনো তা নিয়ে জাতিকে সংঘাতের দিকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে, তাদের থেকে আমরা শয়তানের মতো আল্লাহর পানাহ্ চাই। এরা মানুষ হয়েও আদি মুস্তাক্বির ইবলিশের বংশধর।
একাত্তরের ফাইনাল পরীক্ষায় যারা ধর্মপক্ষ অবলম্বন, তাও আবার ইসলামের মতো ন্যায়-নীতির নামে ইয়াহ্ইয়া খাঁর বাহিনীর ব্যাভিচার ও ধর্ষণের পাশবতার অধীনে নবী আদর্শের বদর যুদ্ধের অবমাননা করেছে, তারা সর্বকালে ক্ষমার অযোগ্য মহাপাতক।
তারপর ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের তালিকায় আসে তারা, যারা জাতিকে ধর্ম নিরপেক্ষতার নামে ধর্মদ্রোহী মূর্তি পূজারী জাতিতে রূপান্তরীত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। দীর্ঘ তিরিশ বছর জাতিকে লুটে সর্বস্বান্ত করার পরও এ নির্লজ্জরা আজও মূর্তি বাহিনী, ফুর্তি বাহিনীর কীর্তন গায়।
পাকিস্তানীরা মাত্র তেইশ বছর শোষণ করে যে শাস্তি পেয়েছে, তিরিশ বছরের দেশীয় পাপীদের তার চেয়ে কঠোর পরিণাম বিধিলিপি হয়ে ধেয়ে আসছে।
কথিত আছে যে মুস্লিম জাতির পিতা মুস্তাদ্আফ ইব্রাহীম আঃ কে যখন মুস্তাক্বির নমরূদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করে, তখন নাকি একটি ব্যাঙ তার পেশাব দিয়ে নমরূদের আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছিল। ব্যাঙ ধর্মনিরপেক্ষ, ধর্মদ্রোহী নমরূদের আগুন নেভাতে পারেনি। তবুও নাকি ব্যাঙ এর সে মহৎ প্রচেষ্টার জন্য ব্যাঙ মারা গুনাহ্।
একাত্তর সালে পাকিস্তানী নমরূদ চক্রের পাপের চিতায় যখন মিল্লাতে ইব্রাহীমের উত্থানের জন্য প্রতিষ্ঠিত দেশ জ্বলছিলো, তখন ক্ষুদ্র ব্যাঙের মতো হলেও আমি সে আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছি।
আইউব খাঁ বিরোধী সম্মিলিত আন্দোলনে আমি প্রাদেশিক জয়েন্ট সেক্রেটারী ছিলাম। আইউব ইয়াহ্ইয়া তাড়াতে গিয়ে দেশ ভেঙ্গে রামরাজ ও বামরাজ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র যখন আমার কাছে স্পষ্ট হলো, তখন আমি বাটপাড়ি রাজনীতি থেকে পদত্যাগ করে আমার বর্তমান চিন্তাধারার পথে যাত্রা আরম্ভ করি। আমি একা হয়েও আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে আমার সাথে আল্লাহ আছেন। সে পথে অগ্রসর হয়েই আমি আজ বিশ্বাস করি যে আমি সত্যের পথে আমার স্রষ্টা ও প্রতিপালক এক আল্লাহর “সানিয়াস্নাইন” দোকা। বিশ্বের যারাই এ পথে আসবে, তারাই ধন্য হবে। কেউ না আসলেও আমার ক্ষতি বা ব্যর্থতা নেই। ফুয্তু ওয়া রাব্বিল ক’বা, আল্লাহর শপথ আমি সফল।
১৯৫৮ সালের পূর্বে যখন যুক্তফ্রন্টের রাজনৈতিক বাটপাড়রা পাকিস্তানের রাজনীতিকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়, তখন সে সুযোগে দেশ রক্ষার জন্য পালিত চৌকিদার আইউব খাঁ অস্ত্রের বলে ডাকাতি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে।
তখন আমি মাদ্রাসায় পড়ি। বর্তমানের মতো পাকা না হলেও তখনকার সঠিক বুঝে আইউব খাঁকে উর্দুতে একটি পত্র লিখে যে, গণতন্ত্র বা মার্শাল ল’তে পাকিস্তান টিকবেনা। একমাত্র ইসলাম প্রতিষ্ঠা করলেই পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা লাভ করবে।
আইউব খাঁ আমার পত্র পেয়ে তখনকার দিনে ৫০০ টাকা পুরস্কার সহ দার্শনিক কবি ইকবালের রচনাবলী পাঠিয়ে প্রাদেশিক সামরিক শাসক মেজর জেনারেল ওমরাও খাঁ কে আমার সাথে সাক্ষাত করে তা হস্তান্তরের নির্দেশ দেয়।
এভাবে প্রত্যক্ষভাবে সমসাময়িক তাগুত নমরুদ ও ফেরাউনের নিকট ইব্রাহিম ও মূসা আঃ দের ওয়ারিশীর পত্র লেখার সূত্রপাত হয়।
Download as PDF
Address for all contact:
248/2, Second Colony, Mazar Road, Mirpur 1,
Dhaka-1216, Bangladesh +880 1552 331 779